অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজীপুরের ভাওয়াল রেল স্টেশনে ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে একজন যাত্রীর মৃত্যু ও কয়েকজন আহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এ ঘটনা নিঃসন্দেহে নাশকতামূলক কাজ। আমি এ ঘটনায় ধিক্কার জানাই, নিন্দা জানাই। যে বা যারা এ ধরণের অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা মানবতার শত্রু।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে ভাওয়াল রেল স্টেশনে ট্রেনের বগিচ্যুতের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, দুই-একটি গণমাধ্যম ট্রেনের এই বগিচ্যুতের ঘটনায় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনরত দলগুলোর ওপর দোষ চাপানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা গভীর চক্রান্তমূলক। এতেই প্রমাণিত হয় ও জনগণ বিশ্বাস করে, সুপরিকল্পিতভাবে নাশকতা ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনায় উদোর-পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতেই দু’একটি গণমাধ্যম বিরোধী দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে ন্যাক্কারজনক অপপ্রচার চালাতে শুরু করেছে। আমরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।
রিজভীর কথা শুনে অনেকেই বলেছেন এ যেনো ভূতের মুখে রাম নাম। যাদের হুকুমে প্রতিদিন গাড়ী ও মানুষ পুড়ছে অহরহ। সে কিনা বলছে এমন সুন্দর সুন্দর কথা। হায়রে রাজনীতি। লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে জনদরদী সাজার পায়তারা। যারা দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে রাজনীতির নামে জারজ রাষ্ট্র মতো ও পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির মতো মানুষ পুড়িযে হত্যা করছে তাদের মুখে ঐসব নীতি বাক্য মানায় না।
যে সকল সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়া লাগে তাদের সাথে রাজনীতির নামে যা করা হচ্ছে বিএনপির নেতারা তা হাড়ে হাড়ে টের পাবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পূর্ব বাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির মতো নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন হতে দেরী হবে না।
এক সময় মুসলিম লীগের যে প্রভাব ছিল তা আজ কোথায়? কোটি কোটি নেতা-কর্মী সমর্থকের বড়াই করলে হিতে বিপরীত হতে বাধ্য। দেশের মানুষ বিএনপি নেতৃবৃন্দের উপর মারাত্মক ক্ষুদ্ধ। রাজধানীর এসি রুমে বসে সেটা অনুধাবন করা যাবে না।
তান্ডব চালিয়ে পার পাওয়া যাবে না। মামলায় জেল খাটতে খাটতে জীবন-যৌবন নস্যাৎ হয়ে যাবে। আনাড়ি নেতৃত্ব কর্মী বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে তাদের ভয়াবহ বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। মনে রাখতে হবে যারা মারছে তারাও আমাদের দেশের নাগরীক, আর যারা মরছে তারোও দেশের নাগরীক। যানবাহন পুড়িয়ে ও মানুষ হত্যা করে সরকার পরিবর্তন করা যায় না। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে হলে আইন-কানুন ও প্রচলিত বিধি-বিধান মেনেই যেতে হয়। কোন দেশ কারো ক্ষমতায় বসিয়ে দিতে পারে না। আর যদি দিয়েও থাকে তবে তা কতদিন স্থায়ী হয়? কিছুদি পরে তাকে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হতেই হয়।
করোনার ধকল আর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ্বের মানুষের যখন আর্থিক সংকটে জীবন বাঁচানোই দুষ্কর তখন রাজনীতির নামে অবরোধ ও হরতালে জনজীবন অতিষ্ট। এ জন্য রাজনৈতিক দল পরিচালনা করতে পরিপক্ক নেতৃত্ব দরকার হয়। যার নেই ব্রেণ তার স্থান ড্রেন। কথাটা মনে রাখা জরুরী।
Leave a Reply